স্তরের নাম | সেবার ধরণ, বিবরণ ও ভূমি মালিকের করণীয় | সেবা প্রদানে নিয়োজিত কমর্কর্তা কর্মচারী |
বিজ্ঞপ্তি | জরিপ শুরু করার পূর্বে সেটেলমেন্ট অফিসার স্থানীয় প্রশাসনসহ ভূমি মালিকগণকে অবহিতকরে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। এ কাজে মাইকিং ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন সহ ব্যাপক জনসংযোগ করা হয়। জরিপের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার পর পরই ভূমি মালিকগণকে জরিপের প্রস্তুতিমূলক কাজ হিসেবে নিজ নিজ জমির আইল/সীমানা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে রাখতে হবে এবং মালিকানা কাগজপত্র সংগ্রহ/সংরক্ষণ করতে হবে। | সেটেলমেন্ট অফিসার/সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার। |
ট্রাভার্স | কোন মৌজার ৩৩% এর বেশী প্লট পরিবর্তিত হলে একটি নতুন প্লেন সিটে ট্রাভার্স জরিপের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুত করতে হয়। এরূপ সিটকে পি-৭০ সিট বলে। একজন ক্যাম্প অফিসারের নের্তৃত্বে ট্রাভার্স সার্ভেয়ার, কম্পিউর ও কতিপয় খালাসীসহ একটি ট্রাভার্স দল গঠন করে ট্রাভার্স জরিপ সম্পন্ন করা হয়।ট্রাভার্স সার্ভেয়ার থিওডোলাইট যন্ত্রের সাহাযো ট্রাভার্স এষ্টেশন চিহ্নিত করে বাঁশের খুঁটিপুঁতে দেন। চিহ্নিত বাশেঁর খুটিগুলো কম্পিউটেশনের মাধ্যমে গোলাকার চাঁদা আকারে মোটা সিটে সন্নিবেশিত করে কিস্তোয়ার কাজ করার জন্য সিটগুলো সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট সরবরাহ করা হয়। | ট্রাভার্সক্রাম্প কর্মকর্তা/ট্রাভার্স সার্ভেয়ার। |
কিস্তোয়ার | একটি মৌসুমী আমিনদল পি-৭০ সিটে অথবা ব্লু-প্রিন্ট সিটে কিস্তোয়ার সম্পন্ন করে থাকেন।নকশায় ৩৩% এর কম প্লট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সাবেক নকশার ব্লু-প্রিন্ট সিটে কিস্তোয়ার করা হয়ে থাকে। মৌসুমী আমিন সার্ভে যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্লট-টু-প্লট জরিপ করে নকশা প্রস্তুত করে থাকেন। কিস্তোয়ারের মাধ্যমে মৌজা নকশায় মৌজার প্রতিটি ভূমি খন্ডের অবস্থানগত প্রতিচ্ছবি নির্ধারিত স্কেলে অংকন করা হয়। | ক্যাডস্ট্রাল সার্কেল অফিসার/হল্কা অফিসার/সর্দার আমিন। |
খানাপুরি | এ স্তরে কিস্তোয়ারকৃত ভূমি খন্ডের নকশায় দাগ নম্বর দেয়া হয়। নকশায় ভূমিখন্ডগুলো উত্তর পশ্চিশ কোণ হতে নাম্বারিং করা হয়। এ স্তরে খতিয়ান খোলা হয়, তবে খতিয়ানে জমির পরিমাণ লেখা হয় না। খতিয়ানে শুধু মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির শ্রেণী, পরিমাণ, দাগ, নম্বর ইত্যাদি সন্নিবেশ করা হয়।সরদার আমিন, বদর আমিনের সহায়তায় উপস্থিত ভূমি মালিকদের কাগজপত্র ওবক্তব্য পযার্লোচনাক্রমে খতিয়ান প্রণয়ন করেন। খতিয়ান ধারাবাহিক নম্বর দিয়ে খুলতেহয়। ১ নং খতিয়ানে সরকারের খাস জমি কালেক্টরের নামে এবং ১/১খতিয়ানে অর্পিত সম্পত্তি কালেক্টরের নামে রেকর্ড করা হয়। ১ ও ১/১ খতিয়ান লেখার পর পরবর্তীগুলো রেওয়াজ অনুযায়ী এয কোন সরকারী/আধা সরকারী বিভাগের নামে আগে বা পরে লেখা যেতে পারে। সবর্শেষে সাধারণ ভূমি মালিকদের খতিয়ান খুলতে হয়। এ স্তরে ভূমি মালিকদের প্রধান কাজ হচ্ছে যথাসময়ে নিজে জমিতে উপস্থিত হয়ে আমিনকে জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত প্রমাণাদি উপস্থাপন করে খতিয়ানে ঐসব তথ্য লিপিবদ্ধ করানো। | সরদার আমিন/ হল্কা অফিসার বা কানুনগো/ ক্যাডাস্ট্রাল সার্কেল অফিসার। |
বুঝারত | খানাপুরী স্তরে প্রণীত খতিয়ানে অংশ অনুযায়ী জমির পরিমাণ লিখে ভূমি মালিকগণের নাম, জমির পরিমাণ সহ সকল তথ্য সন্নিবেশ করে ভূমি মালিকগণকে বুঝিয়ে দিয়ে খতিয়ানের একটি অনুলিপি সরদার আমিন তারিখসহ স্বাক্ষর প্রদানকরে সরবরাহ করে থাকেন।খতিয়ানেরএ অনুলিপিকে পর্চা বলে। এ স্তরে খতিয়ান ও নকশায় কোনত্রুটি থাকলে ভূ-মালিক মাঠে আমিনের নিকট নির্ধারিত ফরমে (বাংলাদেশ ফরম নং৫৪৬৫) বিবাদ কেস (ডিসপুট) দাখিল করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন কোর্ট ফি লাগেনা। হলকা অফিসার (উপ-সহকারী) সেটেলমেন্ট অফিসার) পরবর্তী পরিদর্শন দিবসে পক্ষগণকে শুনানী দিয়ে ডিসপুট নিস্পত্তি করবেন। | ক্যাডাস্ট্রাল সার্কেল অফিসার/হল্কা অফিসার/সর্দার আমিন। |
খানাপুরী -কাম বুঝারত | বু-প্রিন্ট সীটের জরিপ কালে জরিপ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর খানাপুরী-কাম বুঝারত স্তরের মাধ্যমে স্বত্বলিপি প্রস্ত্তত করা হয়। এ স্তরে জরিপ কালে ভূমি মালিকগণ মাঠে উপস্থিত থেকে জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত কাগজপত্র জরিপ কাজে নিয়োজিত আমিনকে দেখিয়ে সঠিকভাবে রেকর্ডভূক্ত করাবেন। | ক্যাডাস্ট্রাল সার্কেল অফিসার/ হল্কা অফিসার/ সর্দার আমিন। |
তসদিক (এ্যাটেষ্টেশন) | প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৮ বিধি মোতাবেক রাজস্ব ক্ষমতা সম্পন্ন একজন উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার উপজেলা পর্যায়ে অথবা ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্যাম্প স্থাপন করে কর্মসূচী দিয়ে ভূমি মালিকদের উপস্থিতিতে প্রতিটি খতিয়ান লাল কালিতে সত্যায়ন করবেন। কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে ভূমি মালিক নির্ধারিত ফরমে (বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬৫) ডিসপুট দাখিল করতে পারেন। ডিসপুট দাখিলের জন্য কোন কোর্ট ফি লাগে না। তসদিক অফিসার পক্ষগণকে শুনানী দিয়ে ডিসপুট নিস্পত্তি করবেন। | তসদিক অফিসার। |
খসড়া প্রকাশনা ও আপত্তি দায়ের | প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৯ বিধি মোতাবেক খসড়া প্রকাশনা দেয়া হয়। খসড়া প্রকাশনা কালে কমপক্ষে ১ (এক) মাস ডি.পি. খতিয়ান ভূমি মালিকের দেখার জন্য খোলা থাকে।ডি.পি খতিয়ানে কোন ভূলত্রুটি থাকলে ভূমি মালিক নির্দিষ্ট ফরমে নির্ধারিত কোর্ট ফি দিয়ে আপত্তি কেস দায়ের করতে পারেন। ডি.পি চলাকালীন আপত্তি কেস দায়ের করতে হয়। | সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার |
স্তরেরনাম | সেবারধরণ, বিবরণওভূমিমালিকেরকরণীয় | সেবাপ্রদানেনিয়োজিতকর্মকর্তা/কর্মচারী | ||
আপত্তি শুনানী | প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫ এর ৩০ বিধি মোতাবেক আপত্তি অফিসার আপত্তি কেস নিস্পত্তি করে থাকেন। আপত্তি অফিসার পক্ষগণকে নোটিশ দিয়ে শুনানী প্রদান করে আপত্তি কেস নিস্পত্তি করে থাকেন। আপত্তি অফিসার রায় প্রদানের সাথে সাথে খতিয়ান ওনকশায় (প্রয়োজনে) সংশোধন করবেন। কোন পক্ষ প্রয়োজন হলে নকশা সংশোধনের জন্য বদরের আবেদন করতে পারেন। আপত্তির রায়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষ রায়ের নকল সংগ্রহ করে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপীল কেস দায়ের করতে পারেন। | আপত্তি অফিসার। | ||
আপীল শুনানি | ৩০বিধি মোতাবেক দায়েরকৃত আপত্তি মামলার রায়ে কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩১ বিধি মোতাবেক আপীল কেস দায়ের করতে পারেন। এরূপ আপীল উক্ত আপত্তির রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে দায়ের করতে হয়। আপীল অফিসার নির্ধারিত কর্মসূচী মোতাবেক কমপক্ষে ৭ দিন পূর্বে পক্ষগণকে নোটিশ দিয়ে শুনানী করে আপীল কেস নিস্পত্তি করবেন। | আপীল অফিসার। | ||
চূড়ান্তপ্রকাশনা | আপীল স্তরের শুনানী সমাপ্তির পর চূড়ান্ত ভাবে প্রস্ত্ততকৃত খতিয়ান ও নকশা চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। চূড়ান্তভাবে প্রস্ত্ততকৃত খতিয়ান ওনকশা মুদ্রণের পর প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩৩ বিধি মোতাবেক খতিয়ান ও নকশার চূড়ান্ত প্রকাশনা দেয়া হয়। চূড়ান্ত প্রকাশনা কালে মুদ্রিত রেকর্ড ও নকশা জনসাধারণের অবগতি ও পরিদর্শনের জন্য কমপক্ষে ৩০ দিন উন্মুক্ত রাখা হয়।ভূমি মালিকগণ চূড়ান্ত প্রকাশিত খতিয়ান ও নকশা নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করতে পারেন। চূড়ান্ত প্রকাশনা কালে ভূমি মালিকদের নিকট বিক্রিত খতিয়ান ও নকশায় ‘‘১৯৫৫ সনের ৩২ ও ৩৩ বিধিতে রেকর্ড চূড়ান্ত ভাবে প্রস্ত্ততকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে’’ মর্মে সেটেলমেন্ট অফিসারের প্রত্যয়ন থাকতে হবে। চূড়ান্ত প্রকাশনার পর রেকর্ড সংশোধনের আর কোন সুযোগ থাকে না। তবে সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট ম্যানুয়্যালের (এস.এস. ম্যানুয়্যাল) ৫৩৩ ও ৫৩৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক রেকর্ড এবং ৫৩৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক নকশায় কারণিক ভূল থাকলে তা সংশোধন করা যায়।চূড়ান্ত রকাশনা সমাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে সংশিষ্ট রাজস্ব অফিসার ৩৪ (১)বিধি মোতাবেক চূড়ান্ত প্রকাশনা সংক্রান্ত প্রত্যায়ন প্রদান করবেন।প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩৪ (২) বিধি মোতাবেক সরকার চূড়ান্ত প্রকাশনা সম্পর্কে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। | সহকারী সেটেলমেন্ট অফিস। | ||
| মৌজা রেকর্ড চূড়ান্ত প্রকাশনা সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অথবা ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইবুনাল স্থাপনের ১ বছরের মধ্যে (যেটি পরে হয়) চূড়ান্ত প্রকাশিত রেকর্ডের বিরুদ্ধে কোন পক্ষ সংক্ষুদ্ধ হলে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল/ দেওয়ানী আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা করতে পারবে। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে কেহ প্রতিকার না পেলে তিনি ল্যান্ড সার্ভে আপীলেট ট্রাইব্যুনালে আপীল করতে পারেন। |
| ||
বিভিন্ন প্রকার কোর্ট ফি, প্রসেস ফি, বদর ফি এবং খতিয়ান ও নকশার মূল্য তালিকাঃ | ||||
৮। আপত্তি/আপীলের জাবেদা নকলের ফিস ঃ | ||||
| ||||
বিঃ দ্রঃ ক) ১ - ৩, ৫ ও ৮ নং ক্রমিকের ফিস সমূহ কোর্ট ফিতে প্রদেয়। খ) ৪,৬ ও ৭ নং ক্রমিকের ফিস সমূহ নগদ টাকায় ডি.সি.আর এর মাধ্যমে প্রদেয়। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস